মধু খাওয়ার উপকারিতা - মধু খাওয়ার অপকারিতা


মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেগুলো নিয়ে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। কিভাবে আপনি মধু ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেটা নিয়ে আমি আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মধুর  উপকারিতা ও অপকারিতা
এই নিচে আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাতে। আর এছাড়া বেশ আরো কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে তো চলুন আমরা আজকে সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নি।

ভূমিকা

মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। মধু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চিনি না খেয়ে আমাদের উচিত মধু খাওয়া তাহলে আমরা নানা রকম রোগ সমূহ থেকে রক্ষা পাবো।

মধু খাওয়ার উপকারিতা 

মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অন্টি-ভাইরাস বৈশিষ্ট্যের কারণে শিতে ঠান্ডা ও কাশি এবং গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিলে তার চিকিৎসায় দারুন ভাবে কার্যকরী মধু। ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এই মধু। হাঁপানি ও ফুসফুসের সমস্যা রোধ করে।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। অনেকে মনে করে, মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এক বছর কিংবা তার পূর্বের সংগৃহীত মধু কে বলে পুরাতন মধু।

পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে যে অনেক সময় নতুন মধুর থেকে পুরাতন মধু বেশি উপকারী হয়। পুরাতন মধু হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়।

মধু খাওয়ার অপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত মধু খান, তাহলে এটি আপনার রক্তের শর্করার মাত্র বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ডায়াবেটিসের ঝুকিয়ে থাকে। অতিরিক্ত মধু খাওয়া ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়। যষ্টিমধু দীর্ঘ সময় ধরে খেলে ওজন বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত মধু খাওয়ার ফলে পেশি দুর্বলতা, মাথাব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। বেশি পরিমাণে মধু খেলে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়।এই কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাওয়া উচিত নয়।

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার 

ত্বকের যত্নে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম।মধু আমাদের ত্বকে কমল ও সুন্দর করে। ব্রণ ফুসকুড়ি ও ব্রণের দাগ দূর করে এই মধু। ত্বকের মশ্চারাইজার হিসাবে মধুকে গণ্য করা হয়। মধু ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। মধু ব্যবহারের ফলে ত্বকের লোমকূপ উন্মুক্ত হয়। ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করে এই মধু।

মধু খাওয়ার নিয়ম ও সময়  

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত সকালে ১-২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উত্তম। এছাড়া প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সাথে ১-২ চা চামচ মধু ও খুব অল্প পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার অধিক গুরুত্ব রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই মধু আর কালোজিরা। নিয়মিত সকালে খালি পেটে মধুর সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন। কালোজিরা ও মধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের দারুন ভূমিকা পালন করে।

জ্বর, সর্দি-কাশিতে এক চা-চামচ কালোজিরা সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন খুব দ্রুত ফলাফল বুঝতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য 

মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধুতে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকায় এটি আমাদের শরীরের জন্য অপকারী হয়। নিয়মিত মধু খেলে হৃদরোগের সমস্যা দূর হয়, সর্দি-কাশি নিরাময় হয়। এছাড়াও মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সকালে মধু খেলে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়াও ত্বকের যত্নে মধুর গুরুত্ব অপরিসম। মধু আমাদের ত্বকে কমল ও সুন্দর করে। ব্রণ ফুসকুড়ি ও ব্রণের দাগ দূর করে এই মধু।

আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব দের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url