মুখের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেগুলো নিয়ে হয়তো আপনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। কিভাবে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেটা নিয়ে আমি আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
এই নিচের আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে অ্যালোভেরা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানাতে। আর এছাড়া বেশ আরো কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে তো চলুন আমরা আজকে সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।

ভুমিকা 

আমাদের জিবনে অ্যালোভেরা ব্যবহারের প্রয়জনিয়তা অপরিসীম। শুষ্ক ত্বক খুব সহজে কমল ও দাগ মুক্ত করে রাখতে সাহায্য করে এই অ্যালোভেরা পাতার জেল। কমিয়ে দেয় ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো ত্বকের নানা রকম সমস্যা।ত্বককে করে উজ্জ্বল ও কোমল।

অ্যালোভেরা পাতার জেল চুলে ব্যবহার করলে চুল সিল্কই, লম্বা ও ঘন হয়। আবার অ্যালোভেরার পাতার রস খাওয়া আনেক উপকারি।ওজন কমাতে ও অ্যালোভেরার ভূমিকা রয়েছে।

মুখের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়াল অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। নিয়মিত ত্বকে অ্যালোভেরা মাখলে এটির ত্বকের প্রদাহ কমায় ত্বকের ক্ষত নির্ময় সাহায্য করে। পাশাপাশি কমিয়ে দেয় ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো ত্বকের সমস্যা।

অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকার। ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে, মসৃণ রাখতে দাগ মুক্ত করতে অ্যালোভেরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে যায় যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন।

এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ ,বি,সি ও এর উপাদান সমুহ ত্বকের পুষ্টি যোগায়।

চুলের যত্নে  অ্যালোভেরার ব্যবহার 

অ্যালোভেরা যেমন ত্বকের জন্য ভালো তেমনি চুল এর জন্য অনেক পুষ্টিকর। একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে ভিটামিন ই মিশিয়ে সেই ঘন মিশ্রণটি চুলে দিতে পারেন এবং এক ঘন্টা চুলে রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন।।

চুল পড়া থেকে খুশকি দূর করতে সহায়তা করে এই অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণটি ।চুলের শুষ্কতা দূর করতে এবং চুলকে পুষ্টিকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল চুলে দিলে চুল অনেক সিল্কি ও মসৃণ হয়।

খাদ্য  হিসেবে অ্যালোভেরার জেলের ব্যবহার 

অ্যালোভেরা জেল আমাদের জন্য অনেক উপকারী। এক গ্লাস এলোভেরা জুস প্রতি সকালে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার এলোভেরা ছোট ছোট কিউব করে কেটে সালাতের মধ্যে খাওয়া যায়। এছাড়ারা এই ছোট ছোট কিউব গুলো শরবতের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

ওজন কমাতে অ্যালোভেরার ভূমিকা 

ওজন কমানো নিয়ে আমরা অনেকেই সমস্যায় থাকি, কিন্তু অ্যালোভেরা এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে। প্রতি সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরার রস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে সহজে আপনার ওজন কমে যাবে। এই রসটি আপনার ক্লান্তি দূর করবে এবং আপনার কর্মশক্তি বাড়াবে।

রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার  বৈশিষ্ট্য 

দেহের ভারসাম্য, নানা রোগ প্রতিরোধ, মানসিক চাপ ও শারীরিক সমস্যা হতে রক্ষণাবেক্ষণ এ সহায়তা করে থাকে এই অ্যালোভেরা। কারণ এতে রয়েছে অ্যাডাপ্টোজেন যা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ভাবে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হজম শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার বৈশিষ্ট্য 

অ্যালোভেরা মধ্যে ল্যাকটেটিভ উপাদান রয়েছে। এই ল্যাকটেটিভ উপাদান আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে ও পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার অ্যালোভেরার রস ডায়রিয়া ও কন্ঠকাঠিন্য এর ক্ষেত্রে কাজ করে।অ্যালোভেরার রস কৃমি থেকে রক্ষা করে এবং কৃমি থাকলে তা দূর করে।

রাতে অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার

অ্যালোভেরা জেল ত্বককে মশ্চারাইজ করে। অ্যালোভেরা জেলের প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বককে হাইড্রেট ও মস্টাইজার করতে সাহায্য করে। রাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে আপনার ত্বক নরম এবং কোমল হবে।

মেছতা দূর করতে অ্যালোভেরা জেল এর ভূমিকা 

মেছতা দূর করার অন্যতম উপাদান হলো অ্যালোভেরার পাতার জেল। এই জেলের মধ্যে রয়েছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। আক্রান্ত স্থানে আঙ্গুলের ডগার সাহায্যে ধীরে ধীরে জেল ঘষে লাগাতে হবে এবং সারারাত লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।

অ্যালোভেরার অপকারিতা সমূহ  

অ্যালোভেরার যেমন অনেক গুন আছে তেমন আছে ক্ষতিকর দিক।এটার ব্যাপারে না জানা থাকলে আমরা উপকৃত না হয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যায় পরতে পারি। চলুন এর ক্ষতিকারক দিক গুলো জেনে নি। প্রাকৃতিক ভাবে আ্যলোভেরার মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ যার নাম হলো অ্যালো লেটিক্স।
যা আমাদের দেহের জন্য প্রচুর ক্ষতিকারক, এই পদার্থটি থাকে আ্যলোভেরার পাতার ভেতরে , যা আমরা অনেক সময় ভুল করে খেয়ে ফেলি এবং পরে এটি শরীরের মধ্যে নানান রোগের জন্মের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । এই অ্যালো- লেটিক্স এ অনেকের এলার্জি থাকে।

তাই এটি সেবন করলে পেটের সমস্যা যেমন জ্বালা, পেটে খিচুনি এবং কম পটাশিয়ামের মাত্রার কারণ হতে পারে। আবার তাকে যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে তাকে এলার্জির মত সমস্যা হতে পারে।

অনেকেরই অ্যালোভেরা জেল থেকেও এলার্জি হতে পারে, যার ফলে চোখ লাল হয়ে যায়, তোকে ফুসকুড়ি ও জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যালোভেরা খাওয়ার বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

অ্যালোভেরা হচ্ছে একটি উদ্ভিদ যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। এই অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করে আমরা নানা ভাবে নিজেদের প্রয়োজন মিটায়। এই অ্যালোভেরা পাতার জেল ব্যবহার করে আমরা আমাদের ত্বকের নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারি। অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আমরা আমদের ত্বককে কমল।ব্রণ ও ফুসকুড়ি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া অ্যালোভেরা পাতার জেল চুলে ব্যবহার করলে চুল সিল্কি,ঘন ও লম্বা হয়।

আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব দের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url